কামাল উদ্দীন চৌধুরীঃ
অবশেষে আলোচিত হাটহাজারীর মন্দাকিণীতে বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা মুদি দোকানদার ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আজমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার ও হত্যা রহস্য বের করতে সক্ষম হলো পুলিশ।
পুলিশের ব্যাপক তদন্তে অবশেষে বেরিয়ে এলো হত্যার খুঁটি-নাটি বিষয়।
জানা যায়,আজমকে প্রথমে ইঁদুরের বিষ খাইয়ে অচেতন করে ও পরে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই বড় ভাই সরওয়ার।
আজ (১৫ জুন) মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তোলা হয় ঠান্ডা মাথার খুঁনী ও ঘাতক সরওয়ারকে।
এর আগে তাকে সন্দেহজনক ভাবে গ্রেফতারে পর পুলিশ।ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশকে দেয়া জবানবন্দিতে সে স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা। সে জানায়, রাতে (সরওয়ার) দোকানে ছোট ভাই আজমের জন্য ভাত দিয়ে যায়।ভাতের সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় ইঁদুরের ঔষধ।পরে ভাত খেয়েছে কিনা মোবাইল করে নিশ্চিত হয়।তার কিছুক্ষণ পর দোকানে এসে আজমকে ডাকতে থাকেন বড় ভাই সরওয়ার।
আজম দোকান খোলার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এবার তাকে গালি গালাজ করে দেখলেন আজম চেতন আছে কিনা। যখন বুঁঝতে পারলেন ইদুরের ওষুধে কাজ হয়েছে। তখন রাত ১২টার দিকে ছুরি দিয়ে ছোটভাইকে ঠান্ডা মাথায় জবাই করে দেয় ঘাতক বড় ভাই সরওয়ার।তারপর সে দোকানের ভিতর থেকে চাটারের দুইটা নাট খুলে রাখে এবং রাত ৩ টায় বের হয়ে তালা ও নাট লাগিয়ে দিয়ে ঘরে চলে যায়। সকালে যখন আজম ঘুম থেকে উঠছেনা তখন পাশের চায়ের দোকানে বসে থাকা মানুষ গুলো ডাকাডাকি করেও যখন উঠছেনা তখন তাদের ঘরে খবর দেয়। খবর শুনে ঘাতক সরওয়ার, চাচাতো, ফুফাতো ভাইসহ এলাকার মানুষজন এসে দোকানের উপরে টিন খুলে প্রবেশ করার পর আজমকে গলা কাটা দেখে চিৎকার করে।
ঘাতক সরওয়ার পরিকল্পনা আরও নিখুঁত করতে সবার আগে লাশের পাশে পড়ে থাকা কিরিচ নিজপ আগে স্পর্শ করে। আঙ্গুলের ছাপ রয়ে যাওয়ায় সে আটকে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই তার পরিকল্পনা সম্পন্ন করেন ঘাতক সরওয়ার।
হাটহাজারী থানা সার্কেল পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম রশীদুল হক জানান, পুলিশ ও পিবিআই সেই বন্ধ দোকান থেকে কোনো প্রমাণ না পেলেও ব্যাপক তদন্তে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে তাকে আটকের পর তার দেখানো মতে সে দোকান থেকেই রক্তে ভেজা গামছা ও তার রক্ত ধোয়া পানি ভর্তি বালতি উদ্ধার করা হয়।আজ তাকে আদালতে তোলা হয়।