কামাল উদ্দীন চৌধুরী :
ফটিকছড়ি ব্রিক ফিল্ড মালিক সমিতির এক সভা ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিবিরহাট বাজারস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আমিনুল হক,আবুল হাসেম, শহিদ মিয়া,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও অর্থ সম্পাদক মোঃ শহিদুল্লাহ।
সভায় বক্তারা ক্ষোভের সাথে বলেন,বর্তমানে হাইকোর্টের আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানে ফটিকছড়িতে ৯টি ইটভাটা গুড়িঁয়ে দিয়েছে এবং দুটি ইট ভাটা হতে জরিমানা আদায় করেছে জেলা প্রশাসন।
ইট ভাটার মালিকগণ ভ্যাট, আইটি,খাজনা,শ্রম অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ও বি এস টি আই সহ প্রতি বছর একটি ব্রিক ফিল্ড ৮ লক্ষ টাকার উপরে রাজস্ব প্রদান করে থাকে।সেই সাথে সরকারের উন্নয়নের বড়ো মাপের যোগান দাতা ইট ভাটার মালিকগন।সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সমূদয় রাজস্ব আদায়ের পরেও কেন ইট ভাটা অবৈধ হবে?
মালিকগন বিশ্বাস করেন এসব রাজস্ব আদায় করা না হলে আমরা বুঝতে পারতাম,ব্রিক ফিল্ড আর চালানো যাবেনা। এছাড়াও প্রতিটি ইট ভাটায় দুই/আড়াই শত শ্রমিক কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করে। এসব শ্রমিকের পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে।
তারা বলেন,বর্তমান সরকারের নানামূখী উন্নয়নে ফটিকছড়িতে চলতি বছর প্রায় ৫ কোটির উপরে ১ নং ইটের প্রয়োজন। এখন যে সব ফিল্ড রয়েছে, সব গুলো ফিল্ড চলমান থাকলেও ৩/৪ কোটির উপরে ১ নং ইট উৎপাদন করতে পারবে না। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষের প্রায় ৬ শত ঘরের জন্য ৭ হাজার করে কয়েক লাখ ইটের প্রয়োজন রয়েছে।
তাছাড়া স্থানীয় লোকের ঘর বাড়ী তৈরীতে ও কয়েক কোটি ইটের প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে স্থানীয় ঠিকাদার ও নানা শ্রেনীর মানুষ ইটের জন্য অগ্রিম টাকা দিয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে ইটের অভাবে উপজেলা,স্থানীয় সরকার, সড়ক ও জনপদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সহ সরকারের চলমান উন্নয়ন কাজে চরম ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার গ্রাম হবে শহর প্রতিপাদ্য নিয়ে উন্নয়নের যে রোড ম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তার চলমান গতিকে স্থবির করার জন্য কোন অদৃশ্য হাত কাজ করছে কি না, তাও দেখা প্রয়োজন।
তাই সরকারের প্রতি আমাদের আবেদন থাকবে, ইটের বিকল্প সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ইট ভাটা গুলো চালু রাখা হউক।